ডিমলায় আদালতের আদেশ অমান্য করে ধান কাটার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৯:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
আদালতের ১৪৪/১৪৫ ধারার নির্দেশ অমান্য — মহিলা শ্রমিক দিয়ে ফসল কেটে নেওয়ার অভিযোগ
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার মৌজা–বাইশপুকুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের মামলায় আদালতের আদেশ অমান্য করে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নীলফামারী হতে জারি করা নোটিশে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের ২৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে নির্ধারিত শুনানিতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষ দল ১৯ অক্টোবর আদালতের আদেশ অমান্য করে মহিলা শ্রমিক দিয়ে ফসল কেটে নেয়— এমন অভিযোগ করেছেন আবেদনকারী।মামলার বিবরণনোটিশ সূত্রে জানা যায়, মামলাটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা নং ৫৩১/২০২৫ (বিবিধ), দণ্ডবিধির ১৪৪/১৪৫ ধারা অনুসারে দায়ের করা হয়েছে।আবেদনকারী: মোঃ জুয়েল রহমান (৫৩), পিতা—মৃত নুরুল ইসলাম, গ্রাম—বাইশপুকুর, থানাঃ ডিমলা, জেলা—নীলফামারী।প্রতিপক্ষ:১. মোঃ মামুনুর রশিদ (৭০), পিতা—মৃত অহর উদ্দিন২. রুবেল হোসেন (৬০) ৩. জুয়েল হোসেন (৫৫), পিতা—মৃত তৈয়ব আলী, গ্রাম—জোংরা সরকারের হাট, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট ৪. রহমত আলী (৫৫), পিতা—মৃত আব্বাস আলী, গ্রাম—ঝুনাগাছ চাপানি, ডিমলা, নীলফামারী।প্রশাসনের নির্দেশ অমান্যনোটিশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে,“বিরোধপূর্ণ জমিতে কোনো প্রকার কার্যক্রম, ফসল কর্তন বা দখল সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত।”তবে অভিযোগকারী দাবি করেন—“প্রতিপক্ষরা মহিলা মানুষ ব্যবহার করে, পেশিশক্তি ও অর্থশক্তি খাটিয়ে আমার লাগানো ধান কেটে নিয়ে গেছে।”নোটিশ প্রদান নোটিশটি ডিমলা থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ রাজু আহম্মেদ (বি-পি নং–৮৬০৬২৭১০৪৫) আইন অনুযায়ী উভয় পক্ষের হাতে পৌঁছে দেন।জমির পরিমাণ নোটিশে উল্লিখিত জমির মোট পরিমাণ ৫ একর ৪৮ শতক, যার মধ্যে প্রায় ১ একর ৩৭ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছে।
খতিয়ান, দাগ নম্বরসহ জমির বিস্তারিত তথ্য আদালতের নথিতে সংযুক্ত রয়েছে।স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া স্থানীয়রা জানান, বিষয়টি দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ থেকে উদ্ভূত। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও আদালতের সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।সংবাদটি স্থানীয় প্রশাসন ও আদালতের নজরে এসেছে বলে জানা গেছে। ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় রয়েছে আবেদনকারী পক্ষ ও এলাকাবাসী।















