ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ::
পার্বতীপুরের ৫নং চন্ডীপুরে তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাস্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত  পঞ্চগড়ে অসহায়দের মাঝে উপহার বিতরণ সীমান্তে শিশুসহ ছয় জনকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর ভৈরবে সাংবাদিক মিজানুর রহমান পাটোয়ারীকে প্রাণনাশের হুমকি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার রংপুর বিভাগীয় কাউন্সিল সম্পন্ন অটো রাইজ মিল নয় যেন চিটারির ফাঁদ শিকলবাঁধা অবস্থায় মুফতি মহিবুল্লাহকে উদ্ধার, অপহরণের বর্ণনা দিলেন নিজেই ফুলবাড়ীতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কিশোর-কিশোরী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত পার্বতীপুরে তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাস্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত  চিরিরবন্দরে ৫ দিন ব্যাপী ১৩০তম স্কাউট ইউনিট লিডার বেসিক কোর্স উদ্বোধন
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ পার্বতীপুরের ৫নং চন্ডীপুরে তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাস্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত  কালিগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে চুরি মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার কালিগঞ্জের চাঁচাই ফুটবল মাঠে ঐতিহ্যবাহী হাডুডু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে বাল্যবিবাহ বন্ধ, মোবাইল কোর্টে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন রেলওয়ে হাসপাতাল সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা নড়াইলের নড়াগাতী থানার ওসি আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজন গ্রেফতার পাঁচবিবিতে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে শরণখোলার জেলেরা

ভৈরবে সাংবাদিক মিজানুর রহমান পাটোয়ারীকে প্রাণনাশের হুমকি

মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ)
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ২৯৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী’কে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভৈরব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী (৪১) দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক গৃহকোণ এর নিজস্ব প্রতিনিধি এবং ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর পরিচালক। সে ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর (পূর্ব) মহল্লার খলিল পাটোয়ারী বাড়ির মো. মজিবুর রহমান আবু মিয়া ও মোছা. রোকেয়া বেগম দম্পত্তির ছেলে।
সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, গত ১২ অক্টোবর ভৈরব উপজেলার টুকচানপুর গ্রামের রহিম মিয়া (৩০), রহিম মিয়ার বাবা মোস্তফা মিয়া (৫৯), মা মনোয়ারা বেগম (৫১) ও একই উপজেলার কালিপুর (বাদশাবিল) গ্রামের সালাম মিয়ার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৫০), ছেলে সরমিন মিয়া (২৫) ও আসিফ মিয়া (২১) দের বিরুদ্ধে ভৈরব পৌরশহরের কমলপুর পূর্ব পাড়া মহল্লার শ্যামল মিয়ার কন্যা ও রহিম মিয়া স্ত্রী ছাবরিনা বেগম রুমকি (২০) বাদী হয়ে গত ১২ অক্টোবর রোববার ২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ১১(গ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৬।
মামলা রুজু হওয়ার পর র‍্যাব-১৪ (সিপিসি-৩) ভৈরব ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল গত ২১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালে পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি রহিম মিয়াকে গ্রেফতার করে পরদিন ২২ অক্টোবর বুধবার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করলে থানা পুলিশ রহিম মিয়া’কে কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী উক্ত মামলার ১নং স্বাক্ষী ও বাদী সাবরিনা বেগম রুমকি’র আপন মামা হওয়ায় ওই মামলার বিবাদী কালিপুর (বাদশাবিল) গ্রামের সালাম মিয়া’র ছেলে সরমিন মিয়া (২৫), আসিফ মিয়া (২১) ও সালাম মিয়া স্ত্রী মোছা. আররোজা বেগম (৫০) সহ অন্যান্য বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকী দেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বাদী হয়ে গত ২৩ অক্টোবর ভৈরব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরি নং- ১০৭৭।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ১১ অক্টোবর ভৈরব উপজেলার টুকচানপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়া ও মনোয়ারা বেগম দম্পত্তির ছেলে মো. রহিম মিয়া’র সঙ্গে বিয়ে হয় ছাবরিনা বেগম রুমকি’র । বিয়ের সময় রুমকি’র পরিবারের পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে স্বামী রহিম মিয়াকে নগদ ২ লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার (মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা) ও দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র দেওয়া হয়।
বিয়ের পর থেকে স্বামী রহিম মিয়া, তার বাবা মোস্তফা মিয়া, মা মনোয়ারা বেগম, মামী আফরোজা বেগম, মামাতো ভাই সরমিন মিয়া ও আসিফ মিয়াসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে আরও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা এনে দিতে পারবেনা জানালে রুমকির ওপর চালাতে থাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে স্বামী রহিম মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বাবার বাড়ি থেকে আরও ৫ লাখ টাকা এনে দিতে চাপ দেয়। তিনি টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে প্রথমে রহিম মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন, পরে রহিম মিয়াসহ তার বাবা মোস্তফা মিয়া, মা মনোয়ারা বেগম, মামী আফরোজা বেগম, মামাতো ভাই সরমিন মিয়া (২৫) ও আসিফ মিয়া (২১) মিলে রুমকি’র গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এতেও তারা খ্যান্ত হয়নি, এরপর তারা লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরসহ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে তাকে গুরুতর আহত করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম হয় এবং তলপেটে আঘাত পেয়ে মারাত্মক রক্তপাত হয়। আহত রুমকি’কে চিকিৎসা না করিয়ে তারা সবাই মিলে রুমকি শরীর থেকে
স্বর্ণালংকার খুলে রেখে দিয়ে তাকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
ভুক্তভোগী রুমকি বলেন, “বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে আমাকে নির্যাতন করা হতো। যৌতুকের জন্য তারা আমাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছে। অবশেষে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ভৈরবে সাংবাদিক মিজানুর রহমান পাটোয়ারীকে প্রাণনাশের হুমকি

আপডেট সময় : ০২:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী’কে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভৈরব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী (৪১) দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক গৃহকোণ এর নিজস্ব প্রতিনিধি এবং ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর পরিচালক। সে ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর (পূর্ব) মহল্লার খলিল পাটোয়ারী বাড়ির মো. মজিবুর রহমান আবু মিয়া ও মোছা. রোকেয়া বেগম দম্পত্তির ছেলে।
সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, গত ১২ অক্টোবর ভৈরব উপজেলার টুকচানপুর গ্রামের রহিম মিয়া (৩০), রহিম মিয়ার বাবা মোস্তফা মিয়া (৫৯), মা মনোয়ারা বেগম (৫১) ও একই উপজেলার কালিপুর (বাদশাবিল) গ্রামের সালাম মিয়ার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৫০), ছেলে সরমিন মিয়া (২৫) ও আসিফ মিয়া (২১) দের বিরুদ্ধে ভৈরব পৌরশহরের কমলপুর পূর্ব পাড়া মহল্লার শ্যামল মিয়ার কন্যা ও রহিম মিয়া স্ত্রী ছাবরিনা বেগম রুমকি (২০) বাদী হয়ে গত ১২ অক্টোবর রোববার ২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ১১(গ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৬।
মামলা রুজু হওয়ার পর র‍্যাব-১৪ (সিপিসি-৩) ভৈরব ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল গত ২১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালে পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি রহিম মিয়াকে গ্রেফতার করে পরদিন ২২ অক্টোবর বুধবার ভৈরব থানায় হস্তান্তর করলে থানা পুলিশ রহিম মিয়া’কে কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী উক্ত মামলার ১নং স্বাক্ষী ও বাদী সাবরিনা বেগম রুমকি’র আপন মামা হওয়ায় ওই মামলার বিবাদী কালিপুর (বাদশাবিল) গ্রামের সালাম মিয়া’র ছেলে সরমিন মিয়া (২৫), আসিফ মিয়া (২১) ও সালাম মিয়া স্ত্রী মোছা. আররোজা বেগম (৫০) সহ অন্যান্য বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকী দেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বাদী হয়ে গত ২৩ অক্টোবর ভৈরব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরি নং- ১০৭৭।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ১১ অক্টোবর ভৈরব উপজেলার টুকচানপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়া ও মনোয়ারা বেগম দম্পত্তির ছেলে মো. রহিম মিয়া’র সঙ্গে বিয়ে হয় ছাবরিনা বেগম রুমকি’র । বিয়ের সময় রুমকি’র পরিবারের পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে স্বামী রহিম মিয়াকে নগদ ২ লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালংকার (মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা) ও দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র দেওয়া হয়।
বিয়ের পর থেকে স্বামী রহিম মিয়া, তার বাবা মোস্তফা মিয়া, মা মনোয়ারা বেগম, মামী আফরোজা বেগম, মামাতো ভাই সরমিন মিয়া ও আসিফ মিয়াসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে আরও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা এনে দিতে পারবেনা জানালে রুমকির ওপর চালাতে থাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে স্বামী রহিম মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বাবার বাড়ি থেকে আরও ৫ লাখ টাকা এনে দিতে চাপ দেয়। তিনি টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে প্রথমে রহিম মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন, পরে রহিম মিয়াসহ তার বাবা মোস্তফা মিয়া, মা মনোয়ারা বেগম, মামী আফরোজা বেগম, মামাতো ভাই সরমিন মিয়া (২৫) ও আসিফ মিয়া (২১) মিলে রুমকি’র গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এতেও তারা খ্যান্ত হয়নি, এরপর তারা লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরসহ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে তাকে গুরুতর আহত করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম হয় এবং তলপেটে আঘাত পেয়ে মারাত্মক রক্তপাত হয়। আহত রুমকি’কে চিকিৎসা না করিয়ে তারা সবাই মিলে রুমকি শরীর থেকে
স্বর্ণালংকার খুলে রেখে দিয়ে তাকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
ভুক্তভোগী রুমকি বলেন, “বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে আমাকে নির্যাতন করা হতো। যৌতুকের জন্য তারা আমাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছে। অবশেষে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।”