পাঁচবিবিতে সন্ত্রাসী হামলার মামলা থেকে আড়াল করতে মিথ্যা মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ০৬:১৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী হামলার মামলা থেকে নিজেকে আড়াল করতে শফিকুল মেম্বারের মিথ্যা মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাইদার ইসলামের স্ত্রী সাবিহা সুলতানা।
(২৮ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচবিবি পৌর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাইদার ইসলামের স্ত্রী সাবিহা সুলতানা।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমার স্বামী ২০২৩ সালে রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ পায়। নিয়োগের আগে শফিকুল মেম্বার এমপি দুদুর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন ও খরচ বহন করে। সেই সময় তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা দাবি করলে আমার পরিবার দেননি। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে শফিকুল মেম্বার আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে এক ছেলেকে পুলিশের কনস্টেবল পদে এবং আরেক ছেলেকে রতনপুর উচ্চবিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী পদে চাকরি দেয়। ৫ আগস্টের পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও এবং লেখালেখি হয়। পরে তিনি মন্টু সরকারসহ কতিপয় লোক নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে বিএনপি কর্মী দাবি করেন। এরপর থেকে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল। বাগজানা বালু মহলে সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হামলা,মাদক ও চোরাকারবারি ব্যবসার সাথে জড়িত । ৫ আগস্টের পর তিনি ও তার বাহিনী আমার পরিবারের নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে বিষয়টি সেনাবাহিনী ও চেয়ারম্যানকে অবগত করি। ধরঞ্জী ইউপি চেয়ারম্যান বলেন বিষয়টি আমাকে বললেই হতো কেনো বিভিন্ন জায়গায় জানানো হলো। তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল মেম্বারকে দায়মুক্তির চেষ্টা করেন। শফিকুল মেম্বার বলেন বিদ্যালয়ে গেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে জেলা বিএনপির নেতাদের বিষয়টি অবগত করলে তারা বলেন শফিকুল মেম্বার বিএনপির কেউ নয়। তারা বিষয়টি সমাধানের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে বললে তিনি আমাদের সাথে কথা বলে প্রতিষ্ঠানে যেতে বলেন। অভয় দেন কেউ মারতে পারবেনা কেউ মারলে আমি দেখব। গত ১৫/০৯/২৫ তারিখে বিদ্যালয়ে সকাল ১০ টায় গেলে সাড়ে ১০ টায় দ্বায়িত্ব পালনকালে ল্যাব রুমে প্রবেশ করে শফিকুল, রাকিবুলসহ অজ্ঞাত ২-৩ জন বেধড়ক মারপিট করলে আহত হলে সুজন নামে একজন ব্যক্তি আমার স্বামীকে পাঁচবিবি থানাতে নিয়ে আসেন। আমি পাঁচবিবি থানায় মামলা করলে পুলিশ রাকিবুলকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও চেয়ারম্যানের চাপে প্রধান শিক্ষক আমার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বলেন মামলা না তুলে নিলে এখানে চাকরি করতে পারবেনা পুনরায় মারবে। হুমকির কারণে আমার স্বামী জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ করে। মেডিকেল ছুটির জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন করলে তিনি দরখাস্ত গ্রহণ করবেনা। কারণ জানতে চাইলে তিনি মামলা প্রত্যাহারের কথা বলেন। মামলা তুলে না নেওয়ায় গত ২৭/১০/২৫ তারিখে আমার স্বামীকে ছাত্রলীগ নেতা ট্যাগ দিয়ে মানববন্ধন করেন। আমার স্বামীর নাম সাইদার ইসলাম হলেও তারা সাইদার রহমান নামে মানববন্ধন করেছেন। তারা বলেন পাঁচই আগস্টের পর আমার স্বামী হলুদ সাংবাদিকতা করেন। আমার স্বামী ৫ ই আগস্টের অনেক আগে থেকেই সাংবাদিকতা করে আমার কাছে সকল কাগজপত্র আছে। তারা আমার স্বামীকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রাণিত দু একটি বিকৃত ছবি দ্বারা কাউকে ট্যাগ দেওয়া যাবেনা। আমার পরিবার কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত তা নেই তা অনেকেই জানে। শফিকুল মেম্বারের মতো চামাচামি করেনি এবং আমার শশুর ও আমার স্বামী আওয়ামীলীগের কোন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত নয় আমার কাছে সকল প্রমাণ আছে। প্রতিপক্ষে শফিকুল মেম্বার চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী হামলা মামলা থেকে নিজেকে এসব অপকর্মের আড়াল করতে আমার স্বামীকে ছাত্রলীগ ট্যাগ লাগিয়ে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই সেই সাথে সন্ত্রাসী শফিকুল মেম্বারসহ তার বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
















