ডিমলায় নির্দিষ্ট সময়ের আগে স্কুল ছুটি,মুল ফটকে ঝলছে তালা
- আপডেট সময় : ০৯:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
স্কুলে এসে কোনো রকমে দু’চারটি ক্লাস নেন শিক্ষকরা। এরপর দুপুর আড়াইটা তিনটা বাজতেই গুটিগুটি পায়ে একে একে বেরিয়ে পড়েন শিক্ষকেরা। সে দিনের মতো স্কুল ছুটি। স্থানীয় বাসিন্দা ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এমনটাই নাকি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী আশ্রায়ন প্রকল্প সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ফলে প্রতিদিনেই কমছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা। ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে সোমবার দুপুর পৌনে ১টায় উত্তর সোনাখুলী আশ্রায়ন প্রকল্প সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, অফিস কক্ষসহ শ্রেণিকক্ষ গুলোতে ঝুলছে তালা। বিদ্যালয়ের বারান্দায় কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় শিশুরা হইচই করছে।
স্কুলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র তানভীর ইসলাম বলেন আজকে টাইফয়েড টিকা দিয়েছে, এইজন ১২টায় স্কুল ছুটি দিয়ে স্যারেরা চলে গেছে।
এ সময় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য(সাবেক)জবেদ আলী অভিযোগ করে বলেন, সকাল ৯টা থেকে স্কুল শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষকরা এসে পৌঁছান বেলা ১০টা থেকে সাড়ে দশটা নাগাদ। ঘড়ির কাটায় আড়াইটা তিনটা বাজলেই একে একে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন শিক্ষকেরা। যদিও অন্য সব স্কুলের মতোই বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঠদান চলার কথা। কিন্তু বেশির ভাগ দিনই দুপুর হলেই স্কুল ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।এছাড়া নিয়মিত স্কুলে আসে না প্রধান শিক্ষক। আজকে টাইফয়েড টিকা দিয়েছে, শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে গেছে। শিক্ষক উপস্থিত থাকবে।শিক্ষার্থীদের সাথে তারাও চলে গেছে।
নাম প্রকাশ নাশর্তে স্থানীয়রা বলেন, এলাকার লোকজন বহুবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে স্কুল সঠিক সময়ে খোলা ও যথাযথ পাঠদান যাতে হয় সেই আবেদনও জানিয়েছেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এলাকাবাসীর কথা আমল নেননি। তবে স্কুলে কর্মরত শিক্ষকেরা এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন নির্ধারিত সময়েই স্কুল ছুটি হয়।আজকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হয়েছে,, শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়ি চলে গেছে। আজকে ক্লাস নেই তাই আমি ১২টা ৩০মিনিটের দিকে স্কুল থেকে চলে আসি। কিন্তু অন্যান্য শিক্ষকদের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত স্কুলে থাকার কথা ছিল।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ওমর ফারুক বলেন,শিক্ষার্থীদের টাইফয়েড টিকা দেওয়া পরে একটু হালকা জ্বর হতে পারে। একারনে শিক্ষার্থী চলে গেলে ও নির্দিষ্ট সময় পযর্ন্ত শিক্ষক স্কুলে থাকতে হবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনাটি সত্য প্রমাণিত হলে ওই স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত)রবিউল ইসলাম বলেন নির্দিষ্ট সময়ের আগে স্কুল ছুটি দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। এমনটি হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
















