ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত 20 টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে
- আপডেট সময় : ০৩:২৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড প্রায় বিশটি পরিবার ২১ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অপেক্ষা করছেন সহায়তার।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম বানিয়াপাড়া এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ অক্টোবর সকালে হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় কয়েকশত পরিবারের ঘরবাড়ি। এতে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করেন তারা। পরে অনেকে ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারলেও আর্থিক সংকটের কারনে নিম্নআয়ের প্রায় ২০ পরিবার এখনো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
আরও জানা যায়, অনেকে দিনমজুর, অনেকে স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিক হঠাৎ করে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় নিংস্ব হয়ে গেছেন তারা। নিজের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকার কারনে মেরামত করতে পারছেনা ঘরবাড়ি। সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন, আমি খুব গরীব মানুষ অভাবের সংসারের থাকি দিন এনে দিন খাই। হঠাৎ ঝড়ে সবকিছু এভাবে ক্ষতি হয়ে যাওয়ায় নিংস্ব হয়ে গেছি। এখন তাকিয়ে আছি কেউ সাহায্য করবে সেটির।
আরেক বাসিন্দা হাসান আলী বলেন, আমাদের সবকিছু ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুটা ঘর ছিলো সেগুলো ভেঙ্গে পড়ে আছে। আমি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই হঠাৎ করে সবকিছু ঠিক করতে পারছিনা। আমরা সবাই সরকারের সহায়তার দিকে তাকিয়ে আছি। আমাদের সহায়তা করলে আমরা পরিবার নিয়ে ভালো ভাবে থাকতে পারব।
হালিমা বেগম বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি সবকিছু ভেঙে গেছে সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। তাকিয়ে আছি কেউ যদি সাহায্য করে তাহলে আমাদের ঘরবাড়ি ভালো করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা মিষ্টার আলী বলেন, আমাদের এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে বিভিন্ন ভাবে নিজের ঘরবাড়ি মেরামত করেছেন। তবে আর্থিক সমস্যার করনে প্রায় বিশটি পরিবার এখনো নিজের ঘরবাড়ি ঠিক করতে পারিনি তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। আমরা তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করছি তবে প্রশাসনিক ভাবে তাদের সহায়তা করলে পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে পাঠিয়েছি আশা করি দ্রুত তাদের সহায়তা করা হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করেছি। উধ্বতন কতৃপক্ষকের কাছে পরিবারগুলোর সহায়তা চেয়ে আবেদন পাঠিয়েছি তাদের সেটি আসলে তাদের সহায়তা করা হবে।















