নতুন ভবনে সেবা চালু নভেম্বরে, স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা তহবিল গঠন

- আপডেট সময় : ০৩:০১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের দেড়শ শয্যার নতুন বহুতল ভবনে নভেম্বরের মধ্যে সেবা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলার সক্রিয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী, ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় নির্মাণের প্রায় এক বছর পরে কার্যক্রম চালু করা হবে। শনিবার সকালে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জনবল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবে এক বছর ধরে পড়ে ছিল বহুতল ভবনটি। অন্যদিকে ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে তিনগুণ রোগী ভর্তি থাকায় মেঝে ও বারান্দায় থেকে কষ্ট করে সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা।
মতবিনিময় সভায় নতুন ভবন চালুর বিষয়ে নানা চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন আলোচকরা। সব ছাপিয়ে নতুন হাসপাতাল চালুর বিষয়ে সবাই ঐক্যমত পোষণ করেন। এমনকি হাসপাতাল চালুর সময় বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য স্বেচ্ছায় অর্থ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন জেলার রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী, ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। গঠন করা হয় স্বাস্থসেবা সহায়তা তহবিল।
হাসপাতালের জিনিসপত্র কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকার সহায়তা নিয়ে সবাই এগিয়ে আসায় নতুন ভবনে সেবা চালু করার সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। একই সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য বিভাগের। মিলেছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক পদায়নের আশ্বাসও।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সীমা শারমিন, সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান, এনসিপি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা, স্বেচ্চাসেবী, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, আমি স্বাস্থ্য বিভাগের পাঁচটি দপ্তরে গিয়েছি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পঞ্চগড়ের স্বাস্থ্য বিভাগের দুরাবস্থা নিয়ে কথা বলেছি। নভেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে পঞ্চগড়ের সকল সরকারি হাসপাতালগুলোতে যতজন চিকিৎসক প্রয়োজন তার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ চিকিৎসক তারা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। হাসপাতালের মেডিসিন, খাবার থেকে শুরু করে অন্য সেবায় আমাদের দলের পক্ষ থেকে কখনো কোনো হস্তক্ষেপ হবে না। আমি চাই সবাই মিলে সহযোগিতা করে দ্রুত নতুন ভবনে সেবা চালু করার।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিকিৎসক দেয়া হবে। তবে লজিস্টিক পেতে আরও সময় লাগবে। তাই জেলার রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই তহবিলের টাকা দিয়েই বেডসহ জিনিসপত্র ক্রয় করে নতুন ভবনে সেবা চালু করা হবে। এটি পঞ্চগড়ের জন্য একটি মাইলফলক। এই তহবিল থেকে আগামী দিনে দরিদ্র রোগীদেরও সহায়তা করা হবে। আমরা মনে করি খুব শিগগিরই পঞ্চগড়ের স্বাস্থ্যসেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।