টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জলঢাকায় অবহিতকরণ সভা

- আপডেট সময় : ১০:১৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেছেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত নয়, তাই টাইফয়েড বেশি দেখা যায়। এই রোগ থেকে বাঁচতে টিকা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। সরকার বিনামূল্যে শিশুদের টিকা দিচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের শিশুদের টাইফয়েড থেকে রক্ষা করতে হবে।টাইফয়েডের টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বুধবার সকালে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারা দেশের মতো নীলফামারীর জলঢাকায় টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। ইউনিসেফ ও ওয়ার্ল্ড হেল্থ প্রোগ্রামের আওতায় মাসব্যাপী এই টিকাদান কর্মসূচিতে উপজেলার ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি/সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। ইউএনও বলেন, অনেকের মাঝে ভুল ধারণা আছে যে, টিকা নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিগত দিনে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়াকে কেন্দ্র করেও নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হয়। এর ফলে লোকজন অযতাই আতঙ্কিত হন। এই গুজব প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
টিকাদান কর্মসূচি উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, মসজিদের ইমাম ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড.নন্দাসেন গুপ্তা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইপিআই টিকা কেন্দ্র ছাড়াও টাইফয়েড ভ্যাকসিনের জন্য বেশ কয়েকটি কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত পুরো এক মাস এসব টিকা কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে।
অবহিতকরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন,ডব্লিউএইচও এর এসআইএমও (WHO)ড.মিজানুর রহমান,উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. মনিরুজ্জামান,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা প্রযুক্তিবীদ (ইপিআই) রাশেদুল ইসলাম ব্রাক ও ইউএসডিও এনজিও প্রতিনিধি,স্থানীয় সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধি।